সাভারে অশীতিপর বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিউজবাংলা,৩ অক্টোবর সোমবার

সাভারে নিজ ধরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে যার বয়স ৮০ বছরেরও বেশি বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও স্থানীয়রা। বরিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটার পর অজ্ঞান অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কারুজ্জামান মিয়া বলেছেন ‘অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার আগে ওই বৃদ্ধার কুঁড়েঘর ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার মেয়ে। তিনি জানান, তাদেরকে বলা হয়েছে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পরিণতি ভালো হবে না।

গত রবিবার ভোরে সাভারের জিনজিরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতার স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সাত বছর আগে পদ্মার ভাঙনে সব হারিয়ে সাভারে চলে আসে ওই বৃদ্ধার পরিবার। জিনজিরা এলাকায় হাজী দানেস আলীর পতিত জমিতে কুঁড়েঘর তুলে মেয়ে ও দুই নাতনি নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে দানেস আলীর ছেলে ওই বৃদ্ধার দুই নাতনিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এরপর তারা সেখান থেকে চলে গিয়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুই তরুণী চলে যাওয়ার পর তার মাকে হয়রানি করতে থাকেন ওই যুবক। এক পর্যায়ে তিনিও পাশের একটি বাড়ি নিয়ে চলে যান। এরপর থেকে ওই বৃদ্ধা কুঁড়েঘরে একাই ঘুমাতেন। রবিবার ভোরে এক যুবক তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই বৃদ্ধা। সকালে তার মেয়ে ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। ওই বৃদ্ধার মেয়ে জানান, তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় হাসপাতালে নিতে পারেননি তারা।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বৃদ্ধার কুঁড়েঘর দানেস আলী ও তার দুই ছেলে ভেঙে দেন বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীর মেয়ে। যদিও বৃদ্ধাকে ধর্ষণ এবং তার বাড়ি ভেঙে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন দানেস আলী।

এদিকে ওই বৃদ্ধার মেয়ে জানান, ঘর ভেঙে দেয়ার পরও তাদেরকে নানা হুমকি দিচ্ছে স্থানীয় কয়েকজন। তাই থানায় যাওয়ার সাহস হয়নি তাদের।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমিও শুনেছি। এরপর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: ১০ টাকার প্রকল্পে ব্যয় দেখানো হচ্ছে ৩০ টাকা: মির্জা ফখরুল

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*