Breaking News
  • নগরকান্দায় কৃষকরাই তৈরী করছে উন্নতমানের কেঁচো কম্পোষ্ট সার
  • আত্রাইয়ে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ কল্পে করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা
  • শরীয়তপুরে জেলা শিক্ষক সমিতির সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন
  • বন্যায় শরীয়তপুরের ৫০ গ্রাম প্লাবিত, ৪২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
  • বাসাইলে কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস, জরিমানা আদায়

বেড়েছে পেঁয়াজ রসুন আদা চিনির দাম

নিউজবাংলা: ১৬ জুলাই, শনিবার:

ঢাকা : ঈদের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলো। ঈদের আমেজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ছে। ফলে, দাম খুব বেশি বাড়েনি। বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে অতিপ্রয়োজানীয় পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিনির দাম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানা গেছে। কাঁচাবাজারের ব্যবসায়িরা জানান, ঈদের পর দুয়েকদিন সরবরাহ সংকট থাকলেও এখন তা কেটে গেছে। বিশেষ করে- এখন কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। এ কারণে পণ্যের দামও ক্রেতাদের হাতের নাগালে আছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে অতিপ্রয়োজানীয় পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিনির দাম।

পেঁয়াজ : প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়। যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়। কী কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তা বলতে পারছে না খুচরা ব্যবসায়িরা। তবে প্রাইকারী ব্যবসায়িরা পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণে দেখছেন না।

রসুন : বাজারে আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়। ঈদের আগে প্রতিকেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। অথচ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়।

আদা : বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি আদা ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। অথচ ঈদের এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আদার দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা।

এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা থেকে ৭৫ টাকায়। তা আবার কোথাও কোথাও ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ এক সপ্তাহে আগে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৭২ টাকায়।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া, প্রতিকেজি পেঁপে ৩৫ টাকায়, শশা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, গাজর ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, দোন্দল ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস : বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। তবে একসঙ্গে ১০ কেজির বেশি গরুর মাংস কিনলে ৪০০ টাকা থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ছোলা : বাজারে ছোলার দাম অনেকটা নামতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকায়। যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা।

ডাল : খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি মসুর ডাল ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অ্যাংকর (বুটের) ডাল ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, খেসারির ডাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি : বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা।

সয়াবিন তেল : বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়। তবে সরকারি সংস্থা টিসিবি প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করছে ৮০ টাকায়।

 

নিউজবাংলা/ একে         

 

Share This:

Comments

comments

Previous: গার্লস স্কুলে কম বয়সী শিক্ষকরা পড়াতে পারবে না
Next: রাণীনগরে সুজন’র মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*